অস্ট্রেলিয়া গিয়েই উজ্জ্বল সৌম্য

125১৪ ম্যাচে ৩৯৬ রান করে সদ্যসমাপ্ত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় সেরা ব্যাটসম্যান তিনি। সমানসংখ্যক ম্যাচে ১০ উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি দুর্দান্ত নেতৃত্ব দিয়ে খুলনা টাইটানসকে শেষ চারেও তুলেছেন।

সব মিলিয়ে আসরের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটি মাহমুদ উল্লাহর জন্য বরাদ্দ হওয়াই ছিল খুব স্বাভাবিক। এটিও অস্বাভাবিক নয় যে এর পরপরই অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েও তাঁর ব্যাটে টি-টোয়েন্টি ঝলক অব্যাহত থাকবে।

মাহমুদ উল্লাহর খুলনার মতো অবশ্য সফল নয় মুশফিকুর রহিমের বরিশাল বুলস। পয়েন্ট তালিকার শেষ দল হলেও ব্যাটিংয়ের সেরা দশেই ছিলেন দলটির অধিনায়ক। ১২ ম্যাচে ৩৪১ রান করে সেরাদের ক্রমানুসারে তিনি ছিলেন সাত নম্বরে। কাজেই এটি তাই অপ্রত্যাশিত ব্যাপার ছিল না যে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়েও ব্যাটিংয়ের ছন্দটা ধরে রাখবেন মুশফিক। সিডনি সিক্সার্সের বিপক্ষে বড় কোনো ইনিংস খেলেননি, তবে টি-টোয়েন্টি প্রস্তুতি ম্যাচে বিসিবি একাদশের ৭ উইকেটের জয়ে প্রত্যাশিত ভূমিকাটাই পালন করেছেন তিনি। জয়ের পথে মূলত এগিয়ে নিয়েছে মাহমুদ উল্লাহর ঝোড়ো ব্যাটিং আর তাতে তুলির শেষ আঁচড় বুলিয়েছেন মুশফিক।

যদিও প্রস্তুতি ম্যাচ থেকে ছন্দে থাকা এই দুজনের ব্যাটিং আপাতত বড় খবর নয়। বড় খবর হলো এমন একজনের ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত, যাঁর ব্যাটে রানখরা বহুদিনের। সবশেষ বিপিএলেও রানে ফিরতে ব্যর্থ। ১২ ম্যাচে মাত্র ১২.২৭ গড়ে ১৩৫ রান সৌম্য সরকারের নামের সঙ্গে বড্ড বেমানান, কিন্তু রংপুর রাইডার্সের হয়ে তাঁর অবদান ওটুকুই! সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকার ৩৫ নম্বরে অবস্থান করা এই ওপেনারের নিউজিল্যান্ডগামী দলে জায়গা পাওয়াটা তাই প্রশ্নেরও জন্ম দিয়েছিল কিছুটা। এমন বড় কিছু করেননি তবে কাল বৃষ্টিতে টার্গেট কমে আসা ম্যাচে ৯ বলে ৩ বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় খেলা ২০ রানের ঝোড়ো ইনিংসে শুরুর ছন্দটা ধরে দিয়েছেন। এর আগে ১ ওভার বোলিং করেই অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে তাঁর পেস বোলিং কার্যকারিতার পুরনো ধারণাও প্রতিষ্ঠিত করেছেন। একমাত্র ওভারেই যে ৫ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন তিন-তিনটি উইকেট।

২০১৫-র বিশ্বকাপ স্কোয়াডেও ঠাঁই করে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর পেস বোলিং ছিল অন্যতম বিবেচনা। ওই আসরেই ব্যাট হাতে নিজের আগ্রাসী মনোভাবের জানান দেওয়া তরুণ সেই অস্ট্রেলিয়াতে ফিরেই দিলেন ছন্দে ফেরার ইঙ্গিত। শেষ ওভারে সৌম্য তিনটি উইকেট তুলে নেওয়াতেই না বিগ ব্যাশের দল সিক্সার্সের সংগ্রহ ৯ উইকেটে ১৬৯ রানের বেশি হয়নি। বিসিবি একাদশ জবাব দিতে নামার আগেই বৃষ্টি, তাতে টার্গেট নেমে আসে ৮ ওভারে ৮৪ রানে। ৮ বল বাকি থাকতেই সেই লক্ষ্যে পৌঁছে দেওয়া কুশীলবদের কথা তো জেনেছেনই।

জানিয়ে রাখা দরকার যে অস্ট্রেলিয়ার টেস্ট দলে থাকা মিচেল স্টার্ক, জশ হ্যাজেলউড ও নাথান লায়নদের ছাড়াই বিসিবি একাদশের বিপক্ষে নেমেছিল সিক্সার্স। তাই বলে ২০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এবারের বিগ ব্যাশের আগে দলটির শক্তির গভীরতাও কম ছিল না। অধিনায়ক ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ইয়োহান বোথা। দুই বিদেশি ইংল্যান্ডের জেসন রয় ও স্যাম বিলিংসের সঙ্গে নেমেছিলেন ব্র্যাড হাডিন-শন অ্যাবটরাও। অবশ্য বিসিবি একাদশ নাম নিয়ে খেলা বাংলাদেশও নামেনি পুরো শক্তি নিয়ে। দলের সবচেয়ে বড় দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে এই ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল।

তাঁদের ছাড়া খেলতে নামা টসজয়ী বিসিবি একাদশ শুরুতে ব্যাপক কোণঠাসাই ছিল। জেসন রয় ও ড্যান হিউজ মিলে যে ৬ ওভারেই ৬৪ রান তুলে দিয়েছিলেন স্কোরবোর্ডে। এরপর ৩১ বলে ৪৭ রান করা হিউজকে এলবিডাব্লিউ করে প্রথম আঘাত হানেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তবে সফরকারীদের ফেরার শুরু ২৩ বলে ৪২ রান করা রয়ের ব্যাটে সিক্সার্স একাদশ ওভারেই শতরান পার করে ফেলার পর। তাঁর পাশাপাশি একই ওভারে স্যাম বিলিংসকেও ফেরান ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ। তাঁর মতো ৩৮ রান খরচায় ২ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামও। শেষ ওভারে নিজের পেস ঝলক দেখানো সৌম্য এরপর ব্যাটেও উজ্জ্বল ছিলেন। তবু একপর্যায়ে দ্রুত ৩ উইকেট হারানো বিসিবি একাদশের প্রয়োজন শেষ ৪ ওভারে ৪১ রানে গিয়ে ঠেকেছিল। মাহমুদ উল্লাহ (৩ বাউন্ডারি ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ২৮ রান) ও মুশফিকের (৮ বলে অপরাজিত ১৫ রান) ব্যাট অবশ্য কোনো দুশ্চিন্তাই আর অবশেষ রাখেনি!

ধামাকা অফার চলছে !BRAND BAZAAR এ LED / 3D/ Smart / 4K TV AC , 40- 65% ডিস্কাউন্ট  !

আরও পন্য দেখতে ছবির উপরে ক্লিক করুন3d

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment